সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পৌরসভার মেন্দীভিটা এলাকায় মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় শরিফুল ইসলাম (৩৩) নামে এক ফার্নিচার দোকানের কর্মচারীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) রাত ১০টায় সোনারগাঁ থানার পার্শ্ববর্তী এলাকা মেন্দিভিটার আয়েশা আমজাদ হসপিটালের সামনে নিলা ফার্নিচারের দোকানে ঘটে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এলাকাবাসীরা শাহ আলম নামের এক ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে ছুরি ও রক্তমাখা শার্ট সহ আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
নিহত শরীফুল ইসলাম চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সতন্তর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং আটক মাদকাসক্ত শাহ আলম সোনারগাঁও পৌরসভার অনন্তমুছা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। শাহ আলম সাবেক পৌর কমিশনার রুনার আপন ভাই।
এলাকাবাসীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সোনারগাঁ থানা রোডের মেন্দীভিটা এলাকায় আয়েশা আমজাদ ক্লিনিকের সামনে স্থানীয় নিলা ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী শরীফুল ইসলামের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ছিনতাইকারী শাহ আলম।এসময় শরীফুল ইসলাম তার মোবাইল না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গলায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আহত শরীফুল ইসলামের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান জানান, স্থানীয় নিলা ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী শরীফুল ইসলামের মোবাইল ফোন ছিনতাই করার সময় সে বাধা দিলে তাকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এলাকাবাসী ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তমাখা শার্ট সহ শাহআলমকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। শাহ আলম সোনারগাঁ থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্ত।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান,শরীফুল ইসলাম নামের এক যুবককে গলায় ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় হত্যাকারী শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।