সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সাত ভাইয়াপাড়া গ্রামে যৌতুক না পেয়ে স্মৃতি রানী বর্মণ (২৫) নামে এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার দুপুরে নিহতের ভাই শ্যামু চন্দ্র বর্মণ বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামী করে সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নিহতের লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে সাতভাইয়া পাড়া গ্রামের বেনু চন্দ্র বর্মণের ছেলে সনজিৎ চন্দ্র বর্মণের সঙ্গে কুমিল্লার সদর থানার আদর্শ উত্তর দূর্গাপুর গ্রামের যতীন্দ্র চন্দ্র বর্মণের মেয়ে স্মৃতি রানীর বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে পায়েল রানী বর্মণ নামের ৭বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্মৃতি রানীর স্বামী সনজিৎ চন্দ্র বর্মণ, শ্বশুর বেনু চন্দ্র বর্মণ, শাশুড়ি জোসনা রানী বর্মণ, খালাতো বোন স্বরসতি চন্দ্র বর্মণ মিলে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। পরে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তাদের দাবিকৃত যৌতুকের টাকা থেকে তিন লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। বাকি দুই লাখ টাকা না দেয়ায় গত শুক্রবার সকালে স্বামী সনজি ফোনে পুনরায় ওই টাকা দাবি করে এবং না দিলে সংসার না করার হুমকি দেয়। তারপর সন্ধ্যায় তারা খবর পান স্মৃতি রানী সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। পরিবারের সদস্যরা দ্রæত হাসপাতালে ছুটে গিয়ে স্মৃতিকে মৃত্যু দেখতে পান। এদিকে ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত স্বামী ও বাড়ির লোকজন সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমেেপ্লক্সে গৃহবধুর লাশ রেখে পালিয় যায়।
সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা গ্রহন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।