
নিউজ ডেস্কঃ সোনারগাঁয়ের চাঞ্চল্যকর ডাকাতির মূল
হোতা ডাকাত সর্দার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে বলেন, দিনের আলোতে গলায় আইডি কার্ড, হাতে ক্যামেরা সাথে ৪/৫ জন
সহযোগী নিয়ে নিজেকে বড় সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিতেন কিন্তু রাতের বেলা সংঘবদ্ধ ডাকাত নিয়ে হয়ে যেতেন ভয়ঙ্কর ডাকাত
সর্দার।
(২৭ জুন) বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে
স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধি দেন সোনারগাঁ থানা পুলিশের হাতে আটক ডাকাত আলী হোসেন।
পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের জবানবন্ধি অনুযায়ী বুধবার রাতে আলি হোসেনকে রূপগঞ্জ তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ডাকাত সর্দার আলী হোসেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ডাকাতির দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধি দেন। সেখানে ডাকাত সর্দার জানান তিনি দৈনিক দেশ পত্রিকার রূপগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে একটি কার্ড নেন ২০ হাজার টাকা দিয়ে পরবর্তি ৬ মাস অন্তর পত্রিকার অফিসে ৬ হাজার টাকা প্রদান করে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিতেন। সাংবাদিক পরিচয়ে সে দিনের বেলা গলায় আইডি কার্ড ও ক্যামেরা ঝুলিয়ে সোনারগাঁ আড়াই হাজার ও রূপগঞ্জে বিভিন্ন বাড়িতে ঘুরে বেড়াতেন। কেউ জিজ্ঞেস করলে তাদের সাংবাদিক পরিচয় দিতেন। এভাবে তারা দিনের বেলা সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে কিভাবে ডাকাতি করা যায় দার ফন্দি আটতো। পরে রাতের বেলা তারা একত্রিত হয়ে ডাকাতি করতো। এছাড়া তারা ডাকাতির কাজে যে গাড়ীটি ব্যবহার করতো সে গাড়ীর সামনে আইডি কার্ডটি ঝুড়িয়ে বসতো ডাকাত সর্দার সাংবাদিক পরিচয়ধারী আলী হোসেন। যদি কোথায় পুলিশ তাদের ধরতো তাহলে সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যেত। এমনকি রাতে ডাকাতি করতে গেলেও সে আইডি কার্ডটি ব্যবহার করতো। ডাকাতি করে যে ভাগ পেত তার অর্ধেক সে একাই নিয়ে নিতো। এভাবে সে দিনের আলোতে সবাইকে বোকা বানিয়ে রাতের বেলা দুধর্ষ ডাকাত সর্দার হয়ে যেতেন আলী হোসেন।
উল্লেখ্য যে, সোনারগাঁ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, ২৬ জুন রাতে উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভাটিকান্দি গ্রামে এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি হয়। সে ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় ডাকাত সর্দার আলী হোসেনসহ আরো ৪ জনকে গত মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ১৬ হাজার টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণসহ কয়েকটি দেশীয় অন্ত্র উদ্ধার করা হয়।