সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের
সোনারগাঁওয়ে স্বদেশ পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে এক যুবতীকে (২২) ধর্ষণের চেষ্টার
অভিযোগ উঠেছে। এ সময় যুবতীর আত্মচিৎকারে আওয়াজ শুনে জনতা গাড়ি থামিয়ে চালক শামীমকে
আটক করে এবং গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। পুলিশ স্বদেশ পরিবহনের বাসটি জব্দ
করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। লম্পট বাস চালক শামীম উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের নানাখী
মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুর রব মিয়ার ছেলে।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পিরোজপুর
ইউনিয়নের মেঘনা নিউটাউন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নির্যাতিত যুবতী বাদী হয়ে
সোনারগাঁও থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিত যুবতী গত
সোমবার রাত ৯ টার দিকে স্বদেশ পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৭২৬৫) ঢাকা গুলিস্তান থেকে সোনারগাঁও উপজেলার
পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনাঘাট বাস স্ট্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হয়। রাত সোয়া ১০টার দিকে
মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাস স্ট্যান্ডে এসে গাড়ী থামালে বাসের সকল যাত্রী নেমে যায়। এ
সময় ওই যুবতী খালি গাড়ী দেখে সেও নেমে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় বাস চালক শামীম ওই
যুবতীকে বলেন তুই বাসে বসে থাক। তোকে মেঘনাঘাট বাস স্ট্যান্ডে ঠিক মত নামিয়ে দিব।
পরে বাস চালক শামীম হেলপার নিরবকে বাস চালাতে দিয়ে যুবতীকে পিছনের সিটে নিয়ে জোর
পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেঘনা নিউটাউন শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ীরা
দোকান বন্ধ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্যে অপেক্ষা করছিল।
এসময় তারা বাস থেকে এক যুবতীর বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনতে পায়।
পরে জনতা গাড়িটি থামিয়ে দেখতে পায় হেলপার গাড়ি
চালাচ্ছে এবং চালক যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টা
করছে। তখন জনতা যুবতীকে উদ্ধার করে চালককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এ
সুযোগে হেলপার পালিয়ে যায়।
সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান
বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক চালক ও
বাসটি থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়েছে।